১৯৪৭-বর্তমান পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের সাহিত্যকর্ম PDF

১৯৪৭-বর্তমান পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের সাহিত্যকর্ম PDF


 বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ কবি শামসুর রাহ্মান। 


কাব্যগ্রন্থ: প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে, রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা বন্দী শিবির থেকে, বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে, উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ, বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, হেমন্ত সন্ধ্যায় কিছুকাল ইত্যাদি। 


উপন্যাস: অক্টোপাস (১৯৮৩), নিয়ত মন্তাজ (১৯৮৫), অদ্ভুত আঁধার এক (১৯৮৫), এলো সে অবেলায় (১৯৯৪)।


প্রবন্ধ - আমৃত্য তাঁর জীবনানন্দ। 

বিখ্যাত কবিতা : স্বাধীনতা তুমি, তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা, বারবার ফিরে আসে। 

 

আল মাহমুদের প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। 

তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ সোনালী কাবিন। 


কাব্যগ্রন্থ: সোনালী কাবিন, লোক লোকান্তর, কালের কলস, বখতিয়ারের ঘোড়া, দোয়েল ও দয়িতা প্রভৃতি। 


উপন্যাস : ডাহুকী, উপমহাদেশ, আগুনের মেয়ে। 


ছোটগল্প: পানকৌড়ির রক্ত (১৯৭৫), সৌরভের কাছে পরাজিত (১৯৮৩), গন্ধবণিক (১৯৮৬) ময়ূরীর মুখ (১৯৯৪)।


জীবনী: যেভাবে বেড়ে উঠি। 


প্রবন্ধগ্রন্থ: ‘কবির আত্মবিশ্বাস’, ‘দিনযাপন’, ‘কবিতার বহুদূর’, নারী বিগ্রহ’।


 

উপন্যাস: নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, আগুনের পরশমনি, জোছনা ও জননীর গল্প। 


ছোটগল্প: আনন্দ বেদনার কাব্য, নিশিকাব্য, শীত ও অন্যান্য গল্প, এলেবেলে, ছায়াসঙ্গী, জলকন্যা, নলিহাতী। 


আগুনের পরশমণি: ‘আগুনের পরশমণি’ হুমায়ূন আহমেদ রচিত স্বাধীনতা বিষয়ক উপন্যাস। এ উপন্যাস অবলম্বনে তাঁরই পরিচালনায় ‘আগুনের পরশমণি’ চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে - যেটি শ্রেষ্ঠ ছবির মর্যাদা লাভ করেছে। 


মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস: আগুনের পরশমণি, জোঁৎনা ও জননীর গল্প, শ্যামল ছায়া ও ১৯৭১।

 

 

বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ মহিলা কবি সুফিয়া কামাল। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলো হলো সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, উদাত্ত পৃথিবী, অভিযাত্রিক, মায়াকাজল ইত্যাদি। কেয়ার কাঁটা তাঁর গল্পগ্রন্থ।

 

গল্প : কেয়ার কাঁটা (১৯৩৭)


শিশুতোষগ্রন্থ: ইতল বিতল (১৯৬৫), নওল কিশোরের দরবারে (১৯৮২)। 


ডায়েরী: একাত্তরের ডায়েরী (১৯৮৯) (একাত্তরের ডায়েরী তাঁর স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ)।


 

উপন্যাস: হাঙর নদীর গ্রেনেড, জলোচ্ছাস, যাপিত জীবন, নীল ময়ূরের যৌবন, পোকামাকড়ের ঘরবসতি, নিরস্তর ঘণ্টাধ্বনি, কালকেতু ও ফুল্লুরা, ভালোবাসা প্রীতিলতা। 


গল্পগ্রন্থ : স্বদেশে পরবাসী, একাত্তরের ঢাকা। 


হাঙর নদী গ্রেনেড তাঁর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। 


 

উপন্যাস: বিংশ শতকের মেয়ে’।


গল্পগ্রন্থ: রমনা পার্কে। 


গবেষণাধর্মী গ্রন্থ: শরৎ প্রতিভা, বাংলার কবি মধুসূদন, বাঙালি মানস ও বাংলা সাহিত্য, অগ্নিস্নাত বঙ্গবন্ধুর ভষ্মাচ্ছাদিত কন্যা আমি, আমি বীরাঙ্গনা বলছি, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য পাঠের ভূমিকা প্রভৃতি। 

নাটক : দুয়ে দুয়ে চার; আত্মজীবনীমূলক রচনা - বিন্দু বিসর্গ। 


 

নাটক; জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, এক্সপ্লোসিড ও মূল সমস্যা, মুনতাসীর ফ্যান্টাসী, চরকাকড়ার ডকুমেন্টারী, কিত্তন খোলা, কেরামত মঙ্গল, হাত হদাই, চাকা, যৈবতী কন্যার মন, সর্প বিষয়ক গল্প, শকুন্তলা, হরগজ।

 


 

উপন্যাস: ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল (১৯৯৪), সবকিছু ভেঙে পড়ে (১৯৯৫), রাজনীতিবিদগণ (১৯৯৮), কবি অথবা দন্ডিত পুরুষ (২০০০), পাক সার জমিন সাদ বাদ (২০০৩), 

কিশোর উপন্যাস : আব্বুকে মনে পড়ে (১৯৮৯)।

 

শওকত ওসমানের প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান (১৯১৯-১৯৯৮)। 

উপন্যাস: বনি আদম, জননী, ক্রীতদাসের হাসি, সমাগম, চৌরসন্ধি, রাজা উপখ্যান, জাহান্নম হইতে বিদায়, দুই সৈনিক, নেকড়ে অরণ্যে, পতঙ্গ পিঞ্জর, রাজলক্ষী, জলাংগী, পুরাতন খঞ্জুর। 

নাটক: আমলার মামলা, তস্কর-লস্কর, বাগদাদের কবি, পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা। 

প্রবন্ধ: সংস্কৃতির চড়াই উৎরাই। 

মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক রচনা: নেকড়ে অরণ্য, জাহান্নম হতে বিদায়, দুই সৈনিক, জন্ম যদি তব বঙ্গে। 

ছোটগল্প: সমাজজীবনের বিচিত্র মানুষের পরিচয়, জীবনের দারিদ্র্য, সংগ্রাম, ধর্মের বাহ্যিক রীতিনীতি, আচার-আচরণ তাঁর গল্পে রূপলাভ করেছে। অনেক ক্ষেত্রে তিনি সমাজ সমালোচকের ভ‚মিকা পালন করেছেন। শওকত ওসমানের গল্প নকশাজাতীয়।

গল্পগ্রন্থ: প্রস্তর ফলক, সাবেক কাহিনী, ওটেন সাহেবের বাংলো, জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প, জন্ম যদি তব বঙ্গে, ঈশ্বরের প্রতিদ্ব›দ্বী, পুরাতন খঞ্জর, বিগত কালের গল্প, মনির ও তাহার কুকুর, নেত্রপথ, উভশৃঙ্গ। 


‘গেঁহু’ হিন্দিভাষী এক মজুর পরিবারের কাহিনী। 

‘তিন মির্জা’ গল্পে ব্রিটিশ যুগে ঢাকায় সিপাহী বিদ্রোহের পটভ‚মিকায় মির্জা পরিবারের পরম্পরাগত ইতিহাসের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। 

‘মোজেজা’ গল্পটিতে গ্রামাঞ্চলে ধর্মের নামে ব্যবসায় নিয়োজিত এক ভÐ পীরের কাহিনী চিত্রিত হয়েছে। 

‘ক্রীতদাসের হাসি’ উপন্যাসের জন্য শওকত ওসমান আদমজী পুরস্কার লাভ করেন। 


 

কাব্যগ্রন্থ : মানচিত্র, ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ, মানচিত্র। 

উপন্যাস: কর্ণফুলী, তেই নম্বর তৈলচিত্র, শীতের শেষ রাত বসন্তের প্রথম দিন, ক্ষুধা ও আশা, বিশৃঙ্খলা। 

কর্ণফুলি উপন্যাসে উপজাতীয়দের জীবনের ছায়াপাত ঘটেছে। 

স্মৃতিস্তম্ভ কবিতাটি মানচিত্র কাব্যের অন্তর্গত। 


ছোটগল্প: জেগে আছি (১৯৫০), ধানকন্যা (১৯৫১), মৃগনাভি (১৯৫৩), অন্ধকার সিঁড়ি (১৯৫৮), উজান তরঙ্গে (১৯৬২), জীবন জমিন (১৯৮৮)। 

কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গল্প: বৃষ্টি, শীষ ফোঁটার গান, কয়লা কুড়ানীর দল ইত্যাদি। 

‘জমাখরচ’ গল্পটি সিলেটের চা-বাগানের কুলি-কামিনদের জীবনকাহিনী নিয়ে রচিত। 

‘যখন সৈকত’ গল্পে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সন্দেহ ও সেই সন্দেহ থেকে জিঘাংসার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। 

‘বাঘিনী’ গল্পে বনের হিংস্র পশুর প্রতি মানুষের হৃদ্যতার কাহিনী ফুটে উঠেছে। 

‘বৃষ্টি’ গল্পটির চলচ্চিত্র রূপায়ন হয়েছে, পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম। 

 

উপন্যাস: চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান, নাম না জানা ভোর, নীল যমুনা, শেষ রাত্রির চাঁদ, বাংলাদেশ কথা কয়। 


গল্পগ্রন্থ : কৃষ্ণপক্ষ, সম্রাটের ছবি, সুন্দর হে সুন্দর। 


‘বৃত্ত’ ষ্টিমার কোম্পানীর কুলিদের জীবনযাপন নিয়ে রচিত। এটি ‘কৃষ্ণপক্ষ’ গ্রন্থের অন্তর্গত। 

‘সম্রাটের ছবি’ একজন যুবক জমিদারকে নিয়ে কমেডি ধাঁচের গল্প।

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী- গানচির রচয়িতা- আবদুল গাফফার। সুরকার- আলতাফ মাহমুদ। 


 

কাব্যগ্রন্থ: প্রেমাংশুর রক্ত চাই, না প্রেমিক না বিপ্লবী, কবিতা-অমীমাংসিত রমণী, মুঠোফোনের কাব্য। 


 

উপন্যাস: কাঁশবনের কন্যা কাঞ্চননামা, জীবনবাসর, সমুদ্রবাসর, কাঞ্চন গ্রাম, জায়জঙ্গল, আলমগড়ের উপকথা। 


গল্পগ্রন্থ: দুই হৃদয়ের তীর, অনেক দিনের আশা, শাহের বানু, পথ জানা নেই, ঢেউ, পুঁই ডালিমের কাব্য, মজা গাঙের গান। 


শামসুদ্দীন আবুল কালামের অধিকাংশ গল্প গ্রামীণ পটভ‚মিতে রচিত এবং তাতে লেখকের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়েছে। প্রকৃতির প্রভাবও তাঁর গল্পে লক্ষ করা যায়। 


‘লালবাতি’ গল্পে একটি অসহায় দিনমজুর পরিবারের জীবনচিত্র অঙ্কিত হয়েছে। 

 

ছোটগল্প: আবু জাফর শামসুদ্দিন একজন নিরীক্ষাপ্রবণ গল্পকার। তিনি গল্পের আঙ্গিক এবং অন্তঃপ্রকৃতি সম্পর্কে ছিলেন বিশেষভাবে সচেতন। 

গল্পগ্রন্থ : শেষরাত্রির তারা, রাজেন ঠাকুরের তীর্থযাত্রা, ল্যাংড়ী, জীবন, এক জোড়া প্যান্ট ও অন্যান্য গল্প। 


‘উঙ্গিল গোশত’ সামাজিক অসঙ্গতির প্রেক্ষিতে পরিকল্পিত অসহায় দাম্পত্য জীবনের কাহিনি। 

‘চোর’ বস্তিবাসীদের জীবন-কাহিনি নিয়ে রচিত রোমান্সের গন্ধযুক্ত এক ভিন্ন স্বাদের গল্প। 


 

নেমেসিস নাটকের রচয়িতা নুরুল মোমেন (১৯০৬-১৯৯০)। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত। তাঁর অন্যান্য নাটকগুলো হলো রূপান্তর, যদি এমন হতো, নয়াখান্দান, আলোছায়া, শতকরা আশি, আইনের অন্তরালে, যেমন ইচ্ছা তেমন ইত্যাদি। তাঁর রম্যগ্রন্থগুলো হলো বহুরূপ, নরসুন্দর, হিংটিংছট।


 

প্রবন্ধগ্রন্থ : সংস্কৃতির সংকট, যুদ্ধপূর্ব বাংলাদেশ, সাম্প্রদায়িকতা যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ, ভাষা আন্দোলন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, বাংলাদেশের মার্কসবাদ। বদরুদ্দীন ওমর মার্কসবাদী তাত্তি¡ক। ভাষা-আন্দোলন-এর ইতিহাস প্রসঙ্গে তাঁর কাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 


বিস্তারিত পড়ার জন্য সম্পূর্ন পিডিএফটি পড়ুন, ধন্যবাদ।

সরাসরি গুগল ড্রাইভে ১৯৪৭-বর্তমান পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের সাহিত্যকর্ম PDF

অন্যান্য পিডিএফ লেকচারের লিংক:

ইতিহাসের বিভিন্ন যুদ্ধ PDF

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস PDF

বি:দ্র: আমাদের দেওয়া কোন পিডিএফ সম্পর্কে কোন অভিযোগ, মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করবেন। 



Post a Comment (0)
Previous Post Next Post