চাকরির জন্য বিজ্ঞান লেকচার ২ PDF ডাউনলোড

চাকরির জন্য বিজ্ঞান লেকচার ২ PDF ডাউনলোড


---------তরঙ্গ ও শব্দ এবং তরঙ্গের প্রকারভেদ--------

তরঙ্গ: যে পর্যাবৃত্ত আন্দোলন কোন জড় মাধ্যমের একস্থান থেকে অন্যস্থানে শক্তি সঞ্চারিত করে কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থানান্তরিত করে না তাকে তরঙ্গ বলে। 


শব্দ: শব্দ শক্তির একটি বিশেষ রূপ যা আমাদের কানে শ্রবণের অনুভূতি জন্মায়। বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়, বস্তুর কম্পন থেমে গেলে শব্দ থেমে যায়। 


শব্দ সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। চাঁদে শব্দ সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যম অর্থাৎ বায়ু নেই বলে চাঁদে শব্দ শোনা যায় না। চাঁদে বায়ুমÐলে বা জড় মাধ্যম নেই বলে চাঁদে কোন বিস্ফোররণ ঘটলেও তা পৃথিবীতে শোনা যাবে না। মানবদেহে শব্দ উৎপন্ন হয় স্বরযন্ত্র দিয়ে। বস্তুর কম্পন মাপা হয় হার্টস (ঐু) একক দিয়ে। 


তরঙ্গের প্রকার: তরঙ্গ দুই প্রকার- 

যেমন- 

১. আড় বা অনুপ্রস্থ তরঙ্গ।  

২. লম্বিক বা অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ। 

প্রত্যেক প্রকার আবার দুইভাবে বিভক্ত- 

১. চল তরঙ্গ 

২. স্থির তরঙ্গ 

-------বাদুড়ের পথচলা-----

 বাদুড়ের পথচলা: বাদুড় চোখে দেখতে পায় না। পথ চলার জন্য বাদুড় শব্দোত্তর বা আলট্রাসনিক তরঙ্গ ব্যবহার করে। বাদুড় চলার সময় ক্রমাগত বিভিন্ন তরঙ্গের শব্দোত্তর তরঙ্গ সৃষ্টি করে। এ তরঙ্গ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সামনে যদি কোন প্রতিবন্ধক থাকে, তাহলে তাতে বাধা পেয়ে এ তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে বাদুড়ের কানে ফিরে আসে। বাদুড় তার সৃষ্ট শব্দোত্তর তরঙ্গ এবং প্রতিধ্বনি শোনার মধ্যকার সময়ের ব্যবধান ও প্রতিফলিত শব্দের প্রকৃতি থেকে প্রতিবন্ধকের অবস্থান এবং আকৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করে এবং পথ চলার সময় সেই প্রতিবন্ধক পরিহার করে। যে দিকে শব্দোত্তর তরঙ্গের প্রতিধ্বনি শুনতে পারে না, সে দিকে কোন প্রতিবন্ধক নেই বিবেচনা করে বাদুড় সে দিকে চলে। 

-------শব্দ দূষণ ও ক্ষতি -----

শব্দ দূষণ: শব্দের আধিক্য আমাদের দেহ ও মনের উপর যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তাকে পরিবেশের শব্দ দূষণ বলা হয়। স্থান, কাল, পাত্রভেদে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শব্দ দূষণের জন্য শব্দের কম্পনসংখ্যা ভিন্নভাবে নির্ধারিত হয়েছে। এক্ষেত্রে শব্দের তীক্ষèতাকে ডেসিবল এককে প্রকাশ করা হয়। 
১. মানুষের স্বাভাবিক ¯স্নায়ু সংযোগ ব্যাহত হয়। কাজে মনোযোগ 
         কমে  এবং মেজাজ খিটখিটে হয়, রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটায়।
২. পরিপাক যন্ত্রেও কাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, ফলে আলসার ও 
         অন্যান্য আন্ত্রিক পীড়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 
৩. শ্রুতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শ্রবণশক্তি ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। 

প্রাকৃতিক চুম্বক:
খনিতে যে সকল চুম্বক পাওয়া যায় তাদের প্রাকৃতিক চুম্বক বলে। প্রাকৃতিক চুম্বকের চুম্বকত্ব স্থায়ী, কিন্তু শক্তিশালী হয় না। বর্তমানকালে প্রাকৃতিক চুম্বকের ব্যবহার নেই বললেই চলে। অতীতে প্রাকৃতিক চুম্বককে লোড ষ্টোন বলা হত।
কৃত্রিম চুম্বক:
পরীক্ষাগারে লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট প্রভৃতি চৌম্বক পদার্থকে বিশেষ উপায়ে চুম্বকে পরিণত করা হলে তাকে কৃত্রিম চুম্বক বলে। শিল্প ও বৈজ্ঞানিক কাজে কৃত্রিম চুম্বক ব্যবহার করা হয়।
অস্থায়ী চুম্বক:
চুম্বক পদার্থকে কোন চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যে আনলে সেটি চুম্বকে পরিণত হয়। চৌম্বকক্ষেত্রটি অপসারিত হওয়ার সাথে সাথে এর চুম্বকত্ব বিলুপ্ত হয়। সাধারণত কাঁচা লোহা, নিকেল, লোহার সংকর ধাতু অস্থায়ী চুম্বক তৈরি করে। মটর, জেনারেটর, ট্রান্সফর্মার প্রভৃতি তৈরিতে অস্থায়ী চৌম্বক পদার্থ ব্যবহার করা হয়।

স্থায়ী চুম্বক:
চৌম্বকক্ষেত্র অপসারিত হলে যে কৃত্রিম চুম্বকের চুম্বকত্ব সহজে বিলুপ্ত হয় না, তাকে স্থায়ী চুম্বক বলে। লোহা, নিকেল, কোবাল্ট, তামা প্রভৃতির মিশ্রণ দিয়ে বর্তমানে শক্তিশালী স্থায়ী চুম্বক তৈরি করা হচ্ছে। সম্প্রতি উদ্ভাবিত সবচেয়ে শক্তিশালী স্থায়ী চুম্বক হচ্ছে নিয়োডিমিয়াম, বোরন, আয়রন। লোহার মধ্যে ০.৮% এর বেশি কার্বন থাকলে তা স্থায়ী চুম্বক তৈরি করে। স্থায়ী চুম্বক দুই ধরনের- সংকর চুম্বক (এলেনকো, নিয়োডিমিয়াম, বোরন, আয়রন) এবং সিরামিক চুম্বক। সিরামিক চুম্বক তৈরি হয় ফেরাইট থেকে যা আয়রন অক্সাইড ও বোরনের মিশ্রণে তৈরি করা হয়। টেপ রেকর্ডার ও কম্পিউটার স্মৃতি ফিতায় এ সিরামিক চুম্বক ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ক্যাসেটের ফিতায় ক্রোমিয়াম অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। যখন ফিতা চালনা করা হয় তখন তা ঘুরে ঘুরে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সংস্পর্শে এসে সংরক্ষিত তথ্য প্রেরণ করে।
 
সিরামিক চুম্বক:
ফেরাইট নামে পরিচিত এক ধরনের যৌগিক পদার্থ যা আয়রন অক্সাইড ও বেরিয়াম অক্সাইডের মিশ্রণ যা সিরামিক চুম্বক তৈরি করে। টেপরেকর্ডার  কম্পিউটার স্মৃতির ফিতায় এই চুম্বক ব্যবহৃত হয়।
চৌম্বক এবং অচৌম্বক পদার্থ:
যে সকল পদার্থ চুম্বক কর্তৃক সহজেই আকৃষ্ট হয় বা যাদের কৃত্রিম চুম্বকে পরিণত করা যায়, তাদের চৌম্বক পদার্থ বলে। অন্যদিকে যে সকল পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে না তাদের অচৌম্বক পদার্থ বলে। লোহা, ইস্পাত, কোবাল্ট, নিকেল প্রভৃতি ধাতু চৌম্বক পদার্থ।সাধারণত লোহা, লোহার যৌগ এবং সেসব সংকর ধাতু যেগুলোতে লোহা বা ইস্পাত আছে এবং নিকেল ও কোবাল্ট চৌম্বক পদার্থ। যেহেতু লোহার উপর নিকেল ও কোবাল্টের প্রলেপ দিয়ে ইস্পাত তৈরি করা হয়, তাই ইস্পাতকেও খুব ভাল মানের চুম্বকে পরিণত করা যায়।সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন ইত্যাদি ধাতুকে চুম্বক আকর্ষণ করে না- এরা অচৌম্বক পদার্থ। বেশির ভাগ অধাতু যেমন- কাঠ, কাচ, কাগজ, প্লাস্টিক, রবার ইত্যাদি অচৌম্বক পদার্থ

বিস্তারিত লেকচারটি পড়তে পিডিএফ  ফাইলটি ডাউনলোড করুন:

 বিজ্ঞানের লেকচার ২ ডাউনলোড লিংক (সরাসরি গুগল ড্রাইভ ) 


এখানে সমস্ত  লেখা পুরোপুরি প্রকাশ করা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। অতএব, পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করুন। ধন্যবাদ

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post